প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর সোশাল এডভান্সমেন্ট ‘বাসা’ এর উদ্যোগে পরিবার পরিকল্পনা,এম আর ও গর্ভপাত পরবর্তী সেবা বিষয়ক ২দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা রামু হাসপাতাল মিলনায়তনে সমাপ্ত হয়। ২৮ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবদুল মন্নান, রামু উপজেলার ভারপ্রাপ্ত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সিরাজ আহমদ, এতে রিসোর্স পার্সন ছিলেন বাসার এজিএম (আইপাসের প্রোজেক্ট কো অর্ডিনেটর) মাসুমা আক্তার রুমা। বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিপ্লব বড়–য়া, দর্পণ বড়–য়া, সিএইচসিপি এস এম রেজাউল করিম, পিংকী শর্মা প্রমুখ। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দীপংকর বড়–য়া ধীমান।

কর্মশালায় জানানো হয় পরিবার পরিকল্পনা একটি জীবন রক্ষাকারী ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে মা ও শিশু দুজনেরই জীবন রক্ষা পায়। বর্তমানে প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার অতি পরিচিত একটি শব্দ এম. আর বা মাসিক নিয়মিতকরণ। এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে জরায়ুর অভ্যন্তরীন পরিবেশ বিঘিœত হয়, ফলে জরায়ুতে ভ্রুন স্থাপিত হতে পারেনা বা হতে দেয়া হয় না। মাসিকের জন্য এম. আর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা অন্য কোন শারীরিক অসুস্থতার জন্যও করা হয়।

নির্ধারিত মাসিক হওয়ার সময়ের ১৪ দিনের মধ্যে যে কোন সময় এম. আর করা যেতে পারে। সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে শেষ মাসিক হওয়ার প্রথম দিন থেকে হিসাব করে ৩৫ দিনের পরে এবং ৪৫ দিনের পূর্বে। সবচেয়ে নিরাপদ সময় হচ্ছে ৪২তম থেকে ৪৯তম দিনের মধ্যে। এম.আর সম্পাদনের পূর্বে নারীকে এম.আর এর ঝুঁকি ও জটিলতা সম্পর্কে অবহিত করা অত্যন্ত জরুরী।